পরিবহন শ্রমিকরা বাস চলতে বাধা দিচ্ছেন

ডেস্ক রিপোর্ট

শুক্রবার সকালে মিরপুর সাড়ে ১১ তে পরিস্থান পরিবহনের একটি গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন ১০-১২ জনের এক দল শ্রমিক। এসময় তারা বলেন, মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছেন। কোনো গাড়ি চলতে দেয়া হবে না।

universel cardiac hospital

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না শ্রমিকরা। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু গাড়ি চললেও তা থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

আব্দুল্লাহ নামের এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, শিক্ষার্থীদের গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছেন। কাজেই কোনো গাড়ি চলবে না।

মহাখালীতে যাবেন ফিরোজা বেগম নামের এক যাত্রী। তিনি মিরপুর ১০ এর গোলচত্বরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে সিএনজি খুঁজছেন, তাও পাচ্ছেন না।

তবে মিরপুরের ডিসি (ট্রাফিক-পশ্চিম) লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘মালিক সমিতি এখনো ধর্মঘট ডাকেনি। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা ডাকতে চাইলে আমরা তাদের না করেছি।’

উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই (রোববার) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন আরো ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী।

নিহত দুই শিক্ষার্থী হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।

এ ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর- ৩৩।

এ ঘটনার পর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।

আন্দোলনরত শিক্ষাথীরা বলছেন, দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ী বেপরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি ও নৌপরিবহন মন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে