হঠাৎ বেড়েছে স্কুল ড্রেস বিক্রি!

ডেস্ক রিপোর্ট

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্যেই হঠাৎ স্কুল ড্রেস বিক্রি বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তাদের তথ্য মতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে সাদা শার্ট।বছরের প্রথম দিকে সাদা শার্ট বিক্রির হিড়িক থাকলেও বছরের মাঝামাঝি অবস্থানে এই বিক্রি অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে খোদ বিক্রেতাদের কাছে।

universel cardiac hospital

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের শেষ দিকে এই সময়ে শার্টের তেমন চাহিদা থাকে না। তার মধ্যে এখন যে হারে তা বিক্রি হচ্ছে, তা বছরের শুরুর দিকের চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে।

গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে পরদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর এগিয়ে আসে অন্যান্য স্কুল কলেজের ছাত্ররা। এর মধ্যে আন্দোলনে ছাত্ররা ছাতাও বিভিন্ন গোষ্ঠী সম্পৃক্ত হয়ে গেছে বলে তথ্য মিলেছে।

রাজধানীতে স্কুল ড্রেস বা সাদা শার্ট পাওয়া যায় এমন কয়েকটি মার্কেটের মধ্যে অন্যতম নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেট, আল্লাহ করিম সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প পুরনো কাপড় বিক্রির মার্কেট গরীবুল্লাহ মার্কেট।

কত বিক্রি হয়েছে, জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেটের স্কুল ড্রেস বিক্রির সবচেয়ে বড় দোকানটির মালিক আনিসুর রহমান তার হিসেবের খাতা খোলেন। এসময় তিনি ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘বিষয়টা অবাক করার মত। এই টাইমে কখনো এত শার্ট বিক্রি হওয়ার কথা না। যা বিক্রি হয়েছে তার সব সাদা আর কালো স্কুল ড্রেসের শার্ট। বুধবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। আর কোন ছোট শার্ট না, সব বড়গুলা বিক্রি হইছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো বাহিরে বের হই। গতকাল সদরঘাটের দিকে গিয়েছিলাম। ধানমন্ডিতে দেখলাম। আমার কাছে সত্যি বলতে এদের অনেককে ছাত্র মনে হয় নাই। ছাত্র আর কামলা আমরা চিনি। কার ভাষা ব্যবহার কেমন আমরা জানি।

একই হারে সাদা শার্ট বিক্রি হয়েছে আল্লাহ করিম সুপার মার্কেটে। গতকাল ৬টি স্কুল শার্ট বিক্রি করছেন বিক্রেতা রুবেল হোসেন। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘১০ দিনেও ছয়টা শার্ট বিক্রি করতে পারি না। বাজার এত খারাপ। একদিনে ছয়টা বিক্রি করছি। এহন বিক্রি হইল ক্যান এটা জিগাইতে চলে আইছেন?’

গরীবুল্লাহ মার্কেটটে বাসা বাড়ি থেকে পুরনো কাপড় কিনে এনে ধুয়ে বিক্রি করা হয়। পাওয়া যায় স্কুল কলেজের লোগো সহ শার্ট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সাদা শার্ট আর স্কুল ড্রেসের অনেক শার্ট কাল পরশু বিক্রি করছি। কয়েকটা শার্টে পিছনের দর্জিগো দিয়ে স্কুলের লোগো লাগাইয়া নিছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে