স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ) কৃষি খাতে নিত্য-নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে। তিনি বলেন, টেকসই কৃষি ব্যবস্থা ও দারিদ্র্য বিমোচন নিশ্চিত করতে আরডিএ’র উদ্ভাবনসমূহ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বগুড়াস্থ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) পরিচালনা পরিষদের ৪৫তম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। পরিচালনা বোর্ডের সহ-সভাপতি ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ্, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বোর্ডের সদস্য ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা বর্তমানে খাদ্যশস্য ও কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি’। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য যাতে লাভজনকভাবে বাজারজাত করা যায় তার লক্ষ্যে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়া ব্যবহার করা নিশ্চিত করার ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। মন্ত্রী জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে সারাদেশে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট তৈরির জন্য কাজ করতে একাডেমীসমূহকে নির্দেশ দেন।
স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমবায় অধিদপ্তর, বিআরডিবি, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়া, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড), কুমিল্লা, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, জামালপুর, খুলনা ও রংপুরকে একযোগে কাজ করার জন্যও তিনি নির্দেশ দেন।
মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর উদ্ভাবিত পণ্য ও সেবাসমূহ সারাদেশে সমবায় বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।