আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। বেশির ভাগ আন্দোলন কারী শিক্ষার্থী ঘরে ফিরে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের নয়দফা আন্দোলনের সব দাবী মেনে নিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নও শুরু করেছি।’
ওবায়দুল কাদের ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপুমণি এমপি, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বক্তব্য সমর্থন করার মাধ্যমে প্রমান হয়েছে তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনের ওপর ভর করে ফায়দা হাসিল করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা কেউ অস্ত্র হাতে নিয়ে রাস্তায় নামেন নি। এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার কোন এজেন্ডাও তাদের ছিল না। সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আহবানকে তারা গোপনে সারাদেশে পৌঁছে দিয়েছে। এ নির্দেশে বিএনপি-জামায়াতের তরুন ক্যাডাররা ঢাকায় একত্রিত করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের নয় বছরের আন্দোলন করতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে দলীয় ক্যাডারদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সরকার হঠাও আন্দোলনের নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপরিষদের সভায় আজ সড়ক পরিবহন আইনটি অনুমোদিত হয়েছে। তবে এটা চুড়ান্ত পর্যায় নয়। এর পর এটি বিল আকারে সংসদে যাবে। সংসদ সময় নির্ধারণ করে তা স্থায়ী কমিটিতে পাঠাবে। চুলচেরা বিশ্লেষণের পর স্থায়ী কমিটি বিলটি পার্লামেন্টে উপস্থাপিত হওয়ার পর তা পাশ হলে আইনে পরিনিত হবে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে শাস্তির বিষয়ে বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার উদ্দেশে দুর্ঘটনা ঘটালে দন্ডবিধির ৩০২ ধায় বিচার হবে। আর বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের জন্য দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে ৫ বছরের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক ক্র্যাশ কর্মসূচী গ্রহন করেছে। এ কর্মসূচী অনুযায়ী শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ৬ দিন সকাল ১০ থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বিআরটি’র সদরদপ্তরসহ দেশের সকল কার্যালয় খোলা থাকবে। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় যানবাহনে ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নসহ সকল জরুরী সেবা প্রদান করা হবে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার প্রমান দিন। উপযুক্ত শাস্তি দেব।