ডেস্ক রিপোর্ট
দেশ কাঁপানো গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া মামলাটির পলাতক দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে। বুধবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান অভিযোগপত্র গ্রহণ করে শুনানির জন্য ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান-২ এর অভিজাত রেস্টুরেন্টটিতে তোলপাড় করা এই হামলা করে জঙ্গিরা। ১৭ জন বিদেশি, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ এই হামলায় প্রাণ হারায় মোট ২২ জন। এই ঘটনায় করা মামলা দুই বছর তদন্তের পর গত ২৩ জুলাই ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। এদের মধ্যে ১৩ জন মৃত এবং আটজন জীবিত। নিহতদের মধ্যে জঙ্গি হামলার পরদিন সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো অভিযান অপারেশন থান্ডারবোল্টে প্রাণ হারায় পাঁচ হামলাকারী। এরা হলেন: রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামিহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। নানা সময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন: তামিম চৌধুরী, সরোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমান, তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদ, নুরুল ইসলাম মারজান, বাশারুজ্জামান চকোলেট, মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ও রায়হান কবির ওরফে তারেক।
হামলার পর পর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এর দায় স্বীকার করলেও তদন্তে আইএস, আল-কায়েদা বা অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলে গত ২৩ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশের জঙ্গি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং দুইজন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যা শ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর। এছাড়া শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন পলাতক আছেন।