ভারতের সাথে টানা দুই ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসের মতো তাই দ্বিতীয় ইনিংসেও অসহায় ভারত। ১৩০ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারীরা। এতে ইনিংস ও ১৫৯ রানে জিতে ব্যবধান বাড়াল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ভারতকে ১০৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে ৩৯৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।
লর্ডসে টানা দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য বোলিং করলেন জেমস অ্যান্ডারসন। সেই সাথে প্রথম পেস বোলার হিসেবে লর্ডসে একশ’ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্ত দিনে ভারতীয় ওপেনার মুরালি বিজয়কে শূন্য রানে আউট করে অনন্য এই মাইল ফলক স্পর্শ করেন তিনি। ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মত বিনা রানে বিদায় নিয়েছেন বিজয়।
স্যাম কারানের সঙ্গে ১২০ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন ক্রিস ওকস। তাকে আউট করতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা। তার সঙ্গে ৭৬ রানে কারানের (৪০)জুটি ভাঙতে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ওকসের ক্যারিয়ার সেরা ১৩৭ রানের ইনিংসে ২৮৯ রানের লিড নেয় তারা। তার ১৭৭ বলের হার না মানা ইনিংসে রয়েছে ২১টি চার। মোহাম্মদ সামি ও হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি করে উইকেট নিয়ে ভারতের সফল বোলার।
বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা সঙ্গী করে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে ভারত। বৃষ্টি ঠিকই হয়েছে, কিন্তু সেটা উইকেটের। অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের তোপে দাঁড়াতেই পারেননি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৬১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও পান্ডিয়ার ৫৫ রানের জুটি ইংলিশ বোলারদের সামনে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে।
পান্ডিয়া ২৬ রানে আউট হলে ১৪ রানের ব্যবধানে শেষ ৪ উইকেট হারায় ভারত। অশ্বিন ইনিংস সেরা ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইশান্ত শর্মাকে আউট করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওকস। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া অ্যান্ডারসন শেষ ইনিংসে ১২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১৬ ওভারে ৪৪ রান খরচায় সমান উইকেট নেন ব্রড। ওকস নেন বাকি ২ উইকেট।
আগামী ১৮ আগস্ট নটিংহ্যামে হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।