কলমাকান্দার কৈলাটী ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের আফসর উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়াসহ (২৫) দুইজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। কলমাকান্দা থানায় রোববার রাতে একই গ্রামের নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে এই মামলা করেন। সোমবার মজনু মিয়া থানায় আত্মসমর্পন করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেলতলী গ্রামের এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের আফসর উদ্দিনের ছেলে মজনু (২৫) গত প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে ওই যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরিবার ওই যুবতীকে একই ইউনিয়নের বীর সিধলী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে বিয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেলে বিল্লাল হোসেন তার স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
বিয়ের পাঁচ মাস যেতে না যেতেই গত ২৫ জুলাই বাবার বাড়িতে যুবতী যমজ দুই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। মেয়েটি স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে গত বুধবার থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। মজনু মিয়া ও তার পরিবার যুবতীকে সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার জন্য এলাকার কিছু মাতাব্বার চেষ্টা চালায়। সালিশে মীমাংসা না হওয়ায় নির্যাতিতার বাবা রোববার রাতে মজনু মিয়া ও তার মা শোভা আক্তারকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেন।
মামলার মূল আসামি প্রেমিক মজনু মিয়া সোমবার সকালে কলমাকান্দা থানায় আত্মসমর্পণ করে।
কলমাকান্দা থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার বিকালে মজনু মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।