রোগীদের এত ভোগান্তির কারণ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ব্যর্থতা

ডেস্ক রিপোর্ট

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ব্যর্থতার কারণেই এ দেশে রোগীদের এত ভোগান্তি। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না। একটি রুলের শুনানিকালে গতকাল সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নেয়া ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনায় দাখিল করা প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এ মন্তব্য।

উল্লেখ্য গত ২৯ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ১ এপ্রিল রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানিতে চোখ হারানো ২০ জনের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের ওপর গতকাল শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অমিত দাসগুপ্ত, সঙ্গে ছিলেন শুভাষ চন্দ্র দাস। ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুল আলমের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘চক্ষু শিবিরে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ওষুধ প্রশাসন ইনস্টিটিউট কর্তৃক রেজিস্টার্ড নয়।’

এর আগে চক্ষু শিবিরে চোখ হারানোর ঘটনায় দুটি তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চক্ষু শিবিরে ব্যবহৃত ওই ধরনের ওষুধ এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন দেয়া সম্ভব হয়নি। এই প্রতিবেদনের সমালোচনা করে আদালত বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ব্যর্থতার কারণেই এ দেশে রোগীদের এত ভোগান্তি। পরে আদালত এ মামলায় জারি করা রুলের ওপর পক্ষগুলোর শুনানি শেষ করে আগামী ২১ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে