সংসদ সদস্যরা সিটি ভোটে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন না!

বিশেষ প্রতিনিধি

ক্ষমতাসীন দল চাওয়ার পরও সংসদ সদস্যরা (এমপি) আপাতত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন না। ক্ষমতাসীন দলের চাহিদা মতো তখন নিয়মিত কাজের ব্যঘাত ঘটিয়ে বিধি সংস্কারের কাজে হাত দিলেও আপাতত এ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

universel cardiac hospital

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা সংস্কারের কাজে হাত দেবে না। এটি সংশোধনের প্রয়োজন হয় কি না তা দেখে যাবে সংসদ ভোটের পরে। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চলতি বছরের ১২ এপ্রিল ইসিতে এসে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণা ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ রেখে আচরণবিধির পরিবর্তনের দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্ট এইচটি ইমাম।

এরপর ১৯ এপ্রিল কমিশন সভায় সিটি ভোটে এমপিদের প্রচারণায় সুযোগ দেয়ার পক্ষে মত দেয় ইসি। সভা শেষে এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে আইন ও বিধিমালা সংস্কারে একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি বিধিমালা সংশোধনের ধারা পর্যালোচনা করে একটা রিপোর্ট দেবে। দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট নিয়ে বিষয়টি কমিশনে উত্থাপন করবে কমিটি।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও আইন সংস্কার কমিটির সভাপতি কবিতা খানম বলেন, আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা শেষ হোক। আমরা আরপিও এবং আচরণ বিধিমালা একসঙ্গে করব। এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি জানানো পর সংশ্লিষ্ট কমিটি সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণায় সুযোগ দেয়ার জন্য আচরণবিধি সংশোধন নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক করে। পরে কমিশন বৈঠকে অনুমোদন দিয়ে তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে কিছু সংশোধনী দিলে তা এখন কমিশনেই আটকে আছে।

সামনে যেহেতু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সংসদ নির্বাচনের আগে যেহেতু আর কোনো সিটি করপোরেশন নির্বাচন নেই। তাই কমিশন আপাতত এটি সংশোধন নিয়ে ভাবছে না।

সূত্র আরো জানায়, বিষয়টি নিয়ে তখন কর্মকর্তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। কারণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের কাজ চলছে। সেটি সংশোধন করা হলে আচরণবিধিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু আরপিও সংশোধন না করে আগেই সিটি করপোরেশনের আচরণ বিধিমালায় হাত দেয়া ঠিক হচ্ছে না এমনটা ভাবনা ছিল তাদের।

এছাড়া সিটি করপোরেশনে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণায় সুযোগ দেয়া হলে স্থানীয় সরকারের বাকি নির্বাচনগুলোতেও সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে সেটি অন্যান্য আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে যা নিয়ে কমিশন বিপাকে পড়বে।

সংসদ ভোটের আগে সিটির বিধিমালা সংশোধন হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে কবিতা খানম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আচরণবিধি নিয়ে কাজ করছি। সংসদ নির্বাচনের আগে সিটির বিধি সংশোধন হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে