কলমাকান্দায় বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

কলমাকান্দা (প্রতিনিধি) নেত্রকোনা

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নজিরপুর ইউনিয়নের কান্তপুর খালের ওপর নির্মিত বাঁশের একটি সাঁকো দিয়ে ১০-১২টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা।
রোববার দুপুরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্তপুর খালের ওপর নির্মিত বাঁশের একটি সাঁকো দিয়ে আশপাশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বাঁশের ওই সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াতকালে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে আর এলাকার অসুস্থ লোকজন ওই ভাঙা সাঁকোতে ওঠে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগ ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। প্রতিদিন এ পথে কয়রা, কান্তপুর, ফুরুডোল, শিবনগর, হাটশিরা শিবনগর, কুট্টাকান্দাসহ ১০/১২ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।  শিবনগর গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, ওই সাঁকো দিয়ে হেঁটে যেতে আমার মত বৃদ্ধ মানুষের খুবই কষ্ট হয়।

কান্তপুর গ্রামের মো.আরশাদ মাহমুদ বলেন, নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্র“তি দেন। কিন্তু ভোটে পাশ করার পর সেই প্রতিশ্র“তি আর মনে থাকে না।

অবসরপ্রাপ্ত আর্মি আব্দুর রউফ বলেন আমরা এলাকাবাসী নিজস্ব অর্থায়নে দীর্ঘদিন যাবত বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চরমঝুকির মধ্যে চলাচল করছি। বরদল ভায়া নাজিরপুর সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ওই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চলাচল করে। তাছাড়া ওই খালের মাটি পরীক্ষা আমরা এলাকাবাসী নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করিয়াছি।

নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বাবুল বলেন, বাঁশের সাঁকোর স্থলে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত ও স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহণসহ চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি সহজতর হবে।

বরদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান আনসারী বলেন, প্রতিদিন বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ওই ভাঙা সাঁকো দিয়ে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করছে। এখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ১০-১২টি গ্রামের লোকজনের ভোগান্তির অবসান হবে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ মো. ফখরুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৩ বার একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে