ডেস্ক রিপোর্ট
বর্তমান সরকারের আক্রোশের শিকার তারেক রহমান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী সরকারের বর্ধিতাংশ ১/১১ সরকার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১ সরকার যে মামলায় তারেক রহমানের নাম অভিযোগপত্রে দিতে পারেনি। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সেই মামলায় সম্পূরক চার্টশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেয়া হয়েছে। সুতরাং এ নাম দেয়া সরকারের প্রতিহিংসার চরিতার্থেরই নামান্তর। নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রশের শিকার।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে এখন অন্ধকার শ্বাসরোধী পরিবেশ। তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনও বয়ে চলেছে। নানাভাবে তাকে বিপর্যস্ত-বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলা ও অন্যায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার গতি অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ১১/১ মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর তার বিরুদ্ধে চালানো হয় অপপ্রচারের ধারাবর্ষণ। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের কর্তৃত্ববাদী সরকার গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে ঘিরে বিছাতে থাকে নানা চক্রান্তের জাল।
মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের নামে দেশের কোথাও কোনো অভিযোগ বা মামলা ছিল না। তাকে দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়েছে। পৈশাচিক, শারীরিক অত্যাচারে তাকে গুরুতর জখম করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্মম অত্যাচারে তারেক রহমান মুক্তির পরও হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠতে পারেননি।
তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহিংসার প্রকাশ। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য ও সামগ্রিকভাবে বিরাজনীতিকরণের ব্লুপ্রিন্ট বাস্তবায়নের জন্যই সেই সময় বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেফতার এবং চক্রান্তমূলক বানোয়াট মামলায় আটক করে তারেক রহমানকে শারীরিকভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। যে অভিযোগগুলো তার বিরুদ্ধে করা হয়েছিল সেগুলো পরবর্তীতে বানোয়াট ও বানানো গল্প হিসেবে প্রমাণ হতে থাকে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা ও সাজা দেয়া হয়েছে তা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।
দেশে ভয়াঙ্কর রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজমান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গুম-খুন, লুটপাট, আত্মসাৎ ও দখলের মহাসমারোহে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে গণতন্ত্র স্বীকৃতবিরোধী দলের অধিকার, কথা বলা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে। সারা দেশ আজ বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে। দুঃশাসনের বিষাক্তবলয়ে বন্দি দেশবাসী।