পরিসংখ্যানের নিরিখে ভারতের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা ছিল অত্যন্ত ক্ষীণ৷ শুরুতেই টপ অর্ডার ধসে পড়ায় সাউদাম্পটন টেস্টে ভারতের হার কেবল সময়ের অপেক্ষা মনে হচ্ছিল৷ তবু কোহলি-রাহানে জুটি যতক্ষণ ক্রিজে ছিল, ততক্ষণ আশায় বুক বেঁধেছিল ভারতীয় শিবির৷
ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির পর দুই সেট ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস৷ জয়ের জন্য ২৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ দফায় ব্যাট করতে নামা ভারত ১৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়৷ ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টে জয় তুলে নেয় ৬০ রানের ব্যবধানে৷ একই সঙ্গে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাঁচ টেস্টের সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতে যায় ব্রিটিশরা৷
দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে বল করতে এসে মঈন আলি প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট দখল করেছিলেন৷ দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে ভাঙার গুরুদায়িত্ব পালণ করেন তিনি৷ শেষ ইনিংসে ভারতের ৪ জন ব্যাটসম্যানকে ফেরত পাঠান মঈন৷
ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রানে আটকে রেখে জয়ের লক্ষ্য নাগালের মধ্যে রাখলেও ভারতের কাজটা সহজ ছিল না মোটেও৷এর আগে কখনও দু’শোর বেশি রান তাড়া করে ইংল্যান্ডে ম্যাচ জেতেনি ভারতীয় দল৷ সুতরাং ঘাড়ের উপর বিপুল চাপ নিয়েই শেষ দফায় ব্যাট করতে নামে টিম ইন্ডিয় এবং রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কোহলি অ্যান্ড কোং৷
মাত্র ২২ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে ভারত৷ খাতা খুলতে পারেননি লোকেশ রাহুল৷ শিখর ধাওয়ান ১৭ ও চেতেশ্বর পূজারা ৫ রানে আউট হন৷ রাহুলকে বোল্ড করেন ব্রড৷ ধাওয়ান ও পূজারার উইকেট তুলে নেন অ্যান্ডারসন৷ চতুর্থ দিনের লাঞ্চেই ভারত ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে৷
চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ১০১ রান যোগ করে কোহলি-রাহানে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান বটে, তবে কোহলি ৫৮ ও রাহানে ৫১ রানে মঈন আলির বলে আউট হতেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় ইংল্যান্ড৷
পরে ঋষভ পন্ত (১৮) ও মহম্মদ শামিকে (৮) ফিরিয়ে দেন মঈন৷ দু’জনেই ছক্কা মারতে গিয়ে মাঝমাঠে ধরা পড়েন৷ খাতা খোলার আগেই স্টোকসের বলে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া৷ইশান্তকেও খাতা খুলতে দেননি ব্রিটিশ অলরাউন্ডার৷ শেষে অশ্বিনকে (২৫) ফিরিয়ে ভারতীয় ইনিংসে দাঁড়ি টেনে দেন স্যাম কুরান৷ দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট নেওয়া মঈন আলি ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন৷
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২৪৬ ও ২৭১
ভারত: ২৭৩ ও ১৮৪