বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্য প্রক্রিয়া এবং তারই দল গণফোরাম আপাতত যুগপৎ কর্মসূচি পালন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়ের পাশাপাশি দেশে একটি কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পুরো সেপ্টেম্বরে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি দেবে যুক্তফ্রন্ট, ঐক্য প্রক্রিয়া এবং গণফোরাম।
এ মুহূর্তে তারা একমঞ্চে না এলেও নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা বিভিন্ন সভা সমাবেশ সেমিনার করে জনগণের মাঝে দাবি ছড়িয়ে দেবে। তবে বৃহত্তর কোনো ইস্যুতে যেকোনো সময় একমঞ্চে চলে আসতে পারেন এসব জোট ও দলের নেতারা। কৌশলগত কারণে আপাতত তারা থাকছেন যুগপৎ কর্মসূচিতে।
এসব তথ্য মিলেছে জোট ও দলের নেতাদের সাথে কথা বলে।
অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। প্রথম দফায় জোটটিতে গণফোরামের পাশাপাশি সিপিবি বাসদের মতো দলও সম্পৃক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিপিবি বাসদ আলাদাভাবে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠন করে ফেললে যুক্তফ্রন্ট গঠনে কিছুটা সমস্যা হয়। দফায় দফায় বৈঠকে করেও এতে গণফোরাম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে সম্পৃক্ত করা যায়নি। তবে তারা তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গঠন করে যুক্তফ্রন্ট। যুক্তফ্রন্টের শরিকরা হলেন- বিকল্প ধারা, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য। এ দিকে জোট গঠনে এসব ঘটনায় কিছুটা অবিশ্বাস দেখা দেয়। ধারণা সৃষ্টি হয় এরা সহজে এক হচ্ছে না। যদিও কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে এসব রাজনৈতিক দল আপাতত পরস্পর থেকে দূরে থাকছেন কৌশলগত কারণে।
এ ব্যাপারে যুক্তফ্রন্ট্রের নেতা জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু যুগপৎ নয় অনেক ইস্যুতে আমরা একমঞ্চেও আসতে পারি। তা ছাড়া গণফোরামকে নিয়ে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তফ্রন্ট। এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও কামাল হোসেনের যৌথ নেতৃত্বে চলবে এই প্রক্রিয়া। তাই এখন বলা যাবে না আমরা যুগপৎ কর্মসূচিতে আছি। সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।