নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের ভেতরে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস বসিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এখানে আদালত চলতে পারে না। আমি অসুস্থ। ডাক্তার বলেছেন, পা ঝুঁলিয়ে না রাখার জন্য। তাই পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে পারবো না। আমি এখানে আসতে পারবো না। আপনারা যতদিন ইচ্ছা সাজা দেন।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে শুনানি করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘মাত্র সাতদিন আগে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল তড়িঘড়ি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আমার আইনজীবীরা এ বিষয়ে না জানায় তারা আসতে পারেনি।’
ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বুধবার বেলা ১১টার দিকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে এসে বসেন। এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু ও তাপস কুমার পালও উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ১২টা নাগাদ খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবীকে কারাগারের অস্থায়ী আদালতে দেখা যায়নি।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নতুন এজলাসে বিচার কার্যক্রম শুরুর পর খালেদা জিয়া নিজের অসুস্থতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বিচারককে বলেন, ‘আপনার যতদিন ইচ্ছা সাজা দিন, আমি এ অবস্থায় আসতে পারবো না। এই আদালতে ন্যায়বিচারও হবে না ‘
আধা ঘণ্টারও কম সময় আদালতের কার্যক্রম চলার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা না থাকায় শুনানি মুলতবি করে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।
নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান গেট সংলগ্ন ভবনের নিচ তলায় অস্থায়ী আদালত বসানোর ব্যবস্থা করা হয়।