বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতির (জুলাই-ডিসেম্বর) কারণে বেসরকারি খাতে বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে ঘোষিত মুদ্রানীতির এই সুযোগ নিতে শুরু করেছে। বেসরকারি খাত সহায়ক এমন মুদ্রানীতির কারণে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে মুদ্রানীতি (জুলাই-ডিসেম্বর) শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় ঘোষিত মুদ্রানীতি বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ। বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী সভাপতিত্বে কর্মশালায় সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার সূচনা বক্তব্য দেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী। তিনি মুদ্রানীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের মুজাফফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এবং বিআইবিএমের অনুষদ সদস্য মো: আব্দুল কাইউম প্রমুখ।
মূল আলোচক বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি খাত বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাবে। তবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের জন্য মুদ্রানীতির বাইরে আরও কিছু বিষয় রয়েছে। যা এবারের মুদ্রানীতিতে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ।যা বেসরকারি খাতের জন্য উৎসাব্যঞ্জক।