কারাগারে আদালত স্থাপন করে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে অভিযোগ করে বিএনপি বলেছে, এজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যতে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘অন্ধকার কারাগারে আদালত গঠন দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার শামিল। বেগম জিয়ার ওপর সরকারের এই বেআইনি অসদাচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বেগম জিয়ার ওপর যে অবিচার চলছে তা মানবধিকার লঙ্ঘন। এটি সরকারের বেআইনি হিংস্র আচরণ। এর জবাব ক্ষমতাসীনদের জনগণের কাছে দিতেই হবে।’
বেগম জিয়াকে এখন বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘যে মামলায় বেগম জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল, সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের সিনিয়র নাগরিক, তার প্রতি সরকারের এমন নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি।’
সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে আরো অসুস্থ করে বিপর্যস্ত করতে চাইছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য দুটি, একের পর এক মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে সাজার স্তুপ বৃদ্ধি করা আরেকটি উদ্দেশ্য দিনের পর দিন আটকে রেখে শারিরীক অসুস্থতার আরো অবনতি ঘটিয়ে বেগম জিয়াকে বিপর্যস্ত করা। গতকালও আপনারা দেখেছেন হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। হাত-পা নড়াতে তার অসুবিধা হচ্ছিল। তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে, তিনি রীতিমতো কাঁপছিলেন এবং চেয়ার থেকে দাঁড়াতে পারছিলেন না।’
সরকার খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসায় অবহেলা করেছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, ‘চিকিৎসকদের পরামর্শনুযায়ী তার যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়নি। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে তার সুচিকিৎসার দাবি বারবার উপেক্ষা করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে কারাগারে রেখে নির্যাতন করছেন সরকার প্রধান।’
সরকার দেশব্যাপী বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রুহুল কবির রিজভী।