ভুটান ও পাকিস্তানকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের দাবীদার ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হলো তাদের। এই ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠল নেপাল, তাদের সঙ্গী পাকিস্তান। সেমি-ফাইনালে খেলতে হলে নেপালের জয়ের প্রয়োজন ছিল। পক্ষান্তরে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রয়োজন অন্তত একটি ড্র। ঘরের মাটিতে ন্যুনতম সেই চাওয়া পুরণ করতে পারেনি জেমি ডে’র শিষ্যরা। এই হারে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই জয়ের ফলে এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমি-ফাইনালে উঠেছে হিমালয় কন্যা নেপাল। দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারানোর ফলে গ্রুপের রানার আপ হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে পাকিস্তান। শুরু থেকেই আক্রমন ও প্রতি আক্রমনে নেমে পড়ে বাংলাদেশ ও নেপালের ফুটবলাররা। এ সময় আক্রমনের জন্য বাংলাদেশ দুই পাশের উইং ব্যবহার করলেও মধ্যমাঠ ছিল নেপালীদের নিয়ন্ত্রনে।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটে নিরঞ্জন খাড়কার কাছ থেকে ডি বক্সের মঝাখানে বল পেয়ে মিডফিল্ডার সুনিল বাল হেড করলে সেটি তালুবন্দী করেন স্বাগতিক গোল রক্ষক শহিদুল আলম। দুই মিনিট পর স্বাগতিক দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার পাসের বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে মাহবুবুর রহমান ডি বক্সের বাইরে থেকে আকস্মিক শট নিলে সেটি ফিরিয়ে দেন নেপালের গোল রক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু। ২৭তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে ওয়ালি ফয়সালের শটের বল গোল পোস্টের বার ঘেষে বাইরে চলে যায়। ২মিনিট পর প্রতিআক্রমনে যায় নেপাল। ভরত কাওয়াজের পাস থেকে বল পেয়ে রোহিত চাঁদের ডান পায়ের শট ফিরিয়ে দেন স্বাগতিক গোল রক্ষক।
ম্যাচের ৩২তম মিনিটে সফরকারী দলের মিডফিল্ডার সুনিল বালকে স্বাগতিক ডিফেন্ডাররা ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় নেপাল। ফ্রি কিক থেকে নেপালের ষ্ট্রাইকার বিমল মাগারের বাঁ পায়ের বাঁকানো শটের বল হাতের মধ্যে নিয়েও ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের গোল রক্ষক শহিদুল আলম। তার হাত ফস্কে বলটি গোল পোস্টে আশ্রয় নিলে এগিয়ে যায় নেপাল (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। ৫০তম মিনিটে মামুনুল ইসলামের কাছ থেকে বল পেয়ে নেপালের ডি বক্সের বাইরে থেকে বিপুল আহমেদের শটটি লক্ষ্য ভ্রস্ট হয়। চার মিনিট পর বাংলাদেশের ডি বক্স থেকে পরপর তিনটি শট নিয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি নেপালি ফুটবলাররা। প্রথম দফায় কাওয়াজের শট গোল রক্ষক ফিরিয়ে দেয়ার পর ফিরতি বলে শট নেন সতীর্থ সুজর শ্রেষ্ঠা। সেটিও ফিরে এলে ফের শট নেন কাওয়াজ। এবার ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে ফিরে আসে বল। ফলে দ্বিতীয় গোল থেকে বঞ্চিত হয় নেপাল।
৮০তম মিনিটে রনির আরো একটি শট বার উচিয়ে বাইরে চলে গেলে গোল বঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। ম্যাচের শেষ মিনিট অর্থাৎ ৯০ তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে সব সমীকরণকে পেছনে ঠেলে দেয় নেপাল। বিশাল রাইয়ের এগিয়ে দেয়া বল ডি বক্সের ভেতর থেকে জোড়ালো শটে দ্বিতীয় গোলটি করেন সফরকারী দলের বদলী খেলোয়াড় নাওয়াউং শ্রেষ্ঠা (২-০)।