যুক্তরাস্ট্রের বিপক্ষে শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচের আগে কোচ তিতের বিবেচনায় ব্রাজিলের অধিনায়ক হিসেবে নেইমারের নাম ঘোষনা করা হয়।
২০১৬ সালের জুনে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব পাবার পর থেকে তিতে প্রতি ম্যাচে নতুন অধিনায়ক মনোনীত করার পদ্ধতি চালু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত তার অধীনে ব্রাজিল সর্বমোট ১৬জন অধিনায়কে দেখেছে। কিন্তু সেই রীতি থেকে বেরিয়ে এসে সেলেসাওদের স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে নেইমারের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে নেইমার বলেছেন, ‘আমি অধিনায়কের আর্মব্যান্ড আবারো গ্রহণ করেছি। কারন আমি ইতোমধ্যেই বিষয়টিতে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, অনেক কিছু শিখেছি। এই ধরনের দায়িত্ব নিতে আমি পছন্দ করি।’
২০১৬ সালের অলিম্পিকে ব্রাজিলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন নেইমার। তার অধীনে স্বাগতিকরা প্রথমবারের মত অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করার কৃতিত্ব দেখায়। কিন্তু অলিম্পিকের পরে এই দায়িত্ব আর নিতে রাজী হননি এই সুপারস্টার।
কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই আবরো নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। এরপর অবশ্য তিনি মাত্র একবার এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালের মার্চে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ^কাপ বাছাইপর্বে তার নেতৃত্বে ব্রাজিল মাঠে নামে। বিশ^কাপে মিরান্ডা, থিয়াগো সিলভা ও মার্সেলোর অধীনে ব্রাজিল খেলেছিল। রাশিয়ার এই আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয় ব্রাজিল। পায়ের ইনজুরি কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ^কাপে খেলতে নেমে অবশ্য ভিন্ন একটি কারনে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন নেইমার। প্রায় সব ম্যাচেই ফাউল নিয়ে তার নাটকীয়তা সকলের মাঝে বিরক্তির সৃষ্টি করেছে। দলের বিদায়ের পরে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে কিছু না বললেও ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন এটা তার ক্যারিয়ারের দু:খজনক মুহূর্ত।
নেইমার জানিয়েছেন অধিনায়ক মনোনীত হয়ে তিনি সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার পথ খুঁজে পেয়েছেন। এদিকে তিতে বলেছেন, ‘সময়ের সাথে সাথে মানুষ পরিনত হয়। সবসময়ই আমরা নেইমারের পাশে ছিলাম। এখন তার সামনে এগিয়ে যাবার পালা।’
ব্রাজিলের স্থায়ী অধিনায়ক হলেন নেইমার
ক্রীড়া ডেস্ক