শ্রদ্ধা-স্মরণে ‘নবাব’ খ্যাত আনোয়ার হোসেন

বিনোদন ডেস্ক

ফাইল ছবি

‘নবাব’ খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে নন্দিত এ অভিনেতা না ফেরার দেশে চলে যান। এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। পাশাপাশি দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে শিল্পী সমিতি।

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে মুকুটহীন সম্রাট খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে শিল্পী সমিতি এর আগে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করেছে কিনা, তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমরা মনে করছি, নবাব খ্যাত আনোয়ার হোসেন চলচ্চিত্রে অনেক অবদান রেখেছেন। তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’

universel cardiac hospital

২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আনোয়ার হোসেন। তাকে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে। ১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

আনোয়ার হোসেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো- ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘বন্ধন’,‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ’, ‘রংবাজ’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘রুপালী সৈকতে’, ‘নয়নমণি’, ‘নাগর দোলা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সূর্য সংগ্রাম’, ‘সূর্যস্নান’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জোয়ার এলো’, ‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘পালঙ্ক’, ‘অপরাজেয়’, ‘পরশমণি’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’ প্রভৃতি।

নায়ক হিসেবে আনোয়ার হোসেনের শেষ সিনেমা ছিল ‘সূর্য সংগ্রাম’। ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে