হাইকোর্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুদকে হাজির হতে দেয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মওদুদ আহমদ ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে আমীর খসরুকে দুদকে হাজির হতে যে নোটিশ দেয়া হয়েছিল, তা বৈধ।তাই আমীর খসরুর দ্রুত দুদকে হাজির হওয়া উচিত।
গত ১৩ আগস্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে হাজির হতে চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বেনামে পাঁচতারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ মানিলন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নিজ নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
পরে আমীর খসরুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হওয়ার সময় দেয়া হয়।
১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দ্বিতীয় দফা তলবেও হাজির হননি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
পরে সংস্থাটির কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি দেন আমীর খসরু। চিঠিতে অনুরোধ করেন উচ্চ আদালতে করা রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে।