‘সার ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল ২০১৮’ নিবন্ধনহীন ও মানহীন রাসায়নিক, জৈব, জীবাণু বা বায়ো ফার্টিলাইজার, মিশ্র সুষম সার উৎপাদন, আমদানি, বিপণন, পরিবহন ও বিক্রয়ের জন্য ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে রবিবার সংসদে পাস হয়েছে।
সংসদের বৈঠকে স্থিরকৃত আকারে বিলটি পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
এর আগে বিলের ওপর আনীত বাছাই কমিটিতে পাঠানো, জনমত যাচাই ও সংশোধনীগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে প্রচলিত আইনে সংশোধনী এনে, মান নির্ধারণ ছাড়া কোনো রাসায়নিক সার, জৈব সার, জীবাণু সার, মিশ্র সুষম সার, উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক ইত্যাদি সার বাজারজাত করার আগে সরকারের অনুমোদন নেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, কোনো সার পরীক্ষায় যদি নমুনা সার পরিবেশ দুষণকারী বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আপিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সরকারের নির্দেশিত পন্থায় নিজ খরচে লটের সমুদয় সার বা কাঁচামাল বিনষ্ট করতে হবে। আগের আইনে মানহীন সার বাজারজাত করার দণ্ড ছয় মাসের সশ্রম কারদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, কৃষিকাজে ব্যবহার্য সার ও সারজাতীয় দ্রবাদিও উৎপাদন, বিক্রয় ও সংশ্লিষ্ট কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণকল্পে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ প্রণীত হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আইনটি সংশোধিত হয়। নতুন উদ্ভাবিত সার বা সারজাতীয় দ্রব্যেও নিয়ন্ত্রণ কল্পে নিবন্ধন ব্যতীত সার ও সারজাতীয় দ্রবাদি উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ, বিতরণ, বিপণন, পরিবহন, বিক্রয়ের জন্য দণ্ড ও শাস্তির মেয়াদ পুনর্নির্ধারণ এবং সংশোধন, পরিমার্জন ও সময়োপযোগী করে সার ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন ২০১৮ প্রণীত হয়।