আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হবে কেমন করে? সেটা হতে পারে তাদের নিজেদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী জাতীয় ঐক্য।
গতকাল সোমবার বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ছাড়া জাতীয় ঐক্য সম্ভব নয়।
কাদের বলেন, কামাল হোসেন সাহেব বলেছেন জামায়াতের সঙ্গে তারা নেই। কাদের সিদ্দিকীও বলেছেন একই কথা। এখন নির্বাচনী মেরুকরণে কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায়, এটা এই মুহূর্তে বলা খুব মশকিল। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন জোট গঠনের যে প্রক্রিয়া এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। এর বিরুদ্ধে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।
নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তফ্রন্ট গঠনকে আওয়ামী লীগ কিভাবে দেখছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব বিষয়গুলোই অবগত। নির্বাচন আসছে এখন বিভিন্ন মেরুকরণ হবে, শত ফুল ফুটবে, আমরা মনে করি এটা গণতন্ত্রের বিউটি। এখন তারা ঠিক করবে তারা কাদের সঙ্গে জোট করবে, কার সঙ্গে করবেন না।
জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণের কথা বলে বিএনপি তথা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দেশের জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজি ও প্রতারণামূলক কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। যারা জাতিসংঘ নিয়ে এমন প্রতারণা করে তাদের হাতে দেশ নিরাপদ হতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা যেটা শুনেছি জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গেট থেকে বারবার অনুরোধ করেছে তারা (বিএনপি)। তাদের বক্তব্য ছিল- যে পর্যায়েরই হোক দেখা করিয়ে দিতে। পরে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বিরক্ত হয়ে কিছুটা সময় দিয়েছেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে নামার জন্য বিএনপির হুমকি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মতো পেট্রোল বোমার আন্দোলন কি বিএনপি শুরু করবে? সেই আন্দোলন যদি তারা করতে যায়, সেই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যায়, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যা যা করণীয়, সমোচিত জবাব দেওয়া হবে।