এশিয়া কাপের ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা বিদায় নিল আফগানিস্তানের কাছে হেরে। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখে সুপার ফোরে উঠে গেলো বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সোমবার আবুধাবিতে ‘বি’ গ্রুপে টিকে থাকার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা ৯১ রানে হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে। এই জয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানরাও পেয়েছে সুপার ফোরের টিকিট। সমান ২ পয়েন্টে থেকে আগামী বৃহস্পতিবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের কাছে হেরে এশিয়া কাপে টিকে থাকাতে জয় ছাড়া বিকল্প ছিলো না শ্রীলঙ্কার সামনে। জিতলেও মুখোমুখি হতে হবে নানা সমীকরণের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৪৯ রান করে আফগানিস্তান। তারপর মুজিব উর রহমান, রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর দুর্দান্ত স্পিনে ৪১.২ ওভারে ১৫৮ রানে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে তারা। সেইসাথে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় শ্রীলঙ্কার। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৬ রান করেন থারাঙ্গা। পেরেরা ৩৬ বলে ২৮ রান, আর ডি সিলভার করেন ৩৮ বলে ২৩ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে মুজিব, নবী, নাইব ও রশিদ খান ২টি করে উইকেট নেন।
আবুধাবিতে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। মোহাম্মদ শাহজাদের দারুণ শুরুর পর রহমত শাহর হাফসেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করেছে তারা।
ইহসানউল্লাহর সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা ভালো করেন শাহজাদ। ১২তম ওভারে ৫৭ রানে ভাঙে তাদের জুটি। সদ্য বাবা হওয়া আকিলা ধনঞ্জয়া দলে ফিরেই আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট তুলে নেন। শাহজাদ ৪৭ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে যান।
তারপর ইহসানউল্লাহকে নিয়ে রহমত স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি লঙ্কান বোলারদের। আবারও এই জুটি ভাঙেন আকিলা। ইহসানউল্লাহকে মাত্র ৫ রান না করার আক্ষেপে পুড়িয়ে এলবিডাব্লিউ করেন এই স্পিনার। ৬৫ বলে ৬ চারে ৪৫ রান করেন আফগান ওপেনার। দুজনের দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে আসে ৫০ রান।
অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাই মাত্র ৫ বল খেলে মাঠ ছাড়লে রহমত ৮০ রানের ইনিংস সেরা জুটি গড়েন হাসমতউল্লাহ শহীদীকে নিয়ে। ৬৩ বলে ৩ চারে ৭ ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি হাঁকান রহমত। তবে সেটাকে সেঞ্চুরি বানাতে পারেননি তিনি। ২৫ বছরের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইনিংস সেরা ৭২ রানে আউট হন ৯০ বল খেলে।
তার এই ইনিংসে ভিত গড়ে আফগানিস্তান। অবশ্য ডেথ ওভারে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। হাসমতউল্লাহ ৩৭ রানে বিদায় নিলে মোহাম্মদ নবি (১৫), নাজিবউল্লাহ জাদরান (১২) ও রশিদ খানের (১৩) ছোটখাটো ইনিংস অবদান রাখে।
ইনিংসের শেষ ওভারে থিসারা পেরেরা মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। এতে ৯ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার তিনি। ২০১২ সালের পর প্রথম ও ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ৫ বা তার বেশি উইকেট পেলেন লঙ্কান পেসার। এছাড়া আকিলা নেন ২ উইকেট।