বর্তমানে দেশে মন্ত্রণালয় অধিদফতর আওতাধীন ৩ লাখ ১০ হাজার ৫১১টি পদ শূন্য রয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর/সংস্থায় মোট শূন্য পদের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৬টি। কোনো কোনো দফতর/সংস্থার নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন, কিছু কিছু পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণযোগ্য এবং কিছু কিছু পদ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে পূরণযোগ্য বিধায় শূন্য পদ পূরণের তারিখ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।
সিলেট-৫ আসনের সেলিম উদ্দিনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ জারির পূর্বে জনপ্রশাসনের কর্মচারীগণ ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে বিভাজিত ছিল। শ্রেণিভিত্তিক উক্ত বিভাজনে ১ম গ্রেড হতে ৯ম গ্রেড ১ম শ্রেণি, ১০ গ্রেড হতে ১৩তম গ্রেড ২য় শ্রেণি, ১৪তম গ্র্রেড হতে ১৬তম গ্রেড ৩য় শ্রেণি এবং ১৭তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেড ৪র্থ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে জারিকৃত ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ এর অনুচ্ছেদ ৮ অনুযায়ী ‘আপাতত বলবৎ এতদসংক্রান্ত অন্য কোনো বিধি-বিধান যাহাই থাকুক না কেন, কর্মচারীগণ ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে বিভাজনের বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তে বেতনস্কেলের গ্রেডভিত্তিক পরিচিত হইবেন।’ মর্মে বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে জনপ্রশাসনের কর্মচারীগণের পরিচিতি বেতন স্কেলের ‘গ্রেডভিত্তিক’ পরিচিতির ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।