লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা পেয়েছে ৯ বছরে ২,৬৯,৩৯০ জন

ডেস্ক রিপোর্ট

লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সেবা প্রাপকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী (২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ২,৬৯,৩৯০ জন লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা পেয়েছে। একই সময়ে মামলার নিস্পত্তি হয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার।
উল্লেখ্য-দেশের দরিদ্র ও অসমর্থ জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০০ সালে আইন প্রণয়নের মধ্যদিয়ে এর যাত্রা শুরু করে।
২০০০ সালে এটি যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটির কার্যক্রম স্তবির হয়ে পড়ে।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমে গতি ফিরে আসে। লিগ্যাল এইডের মূল আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়।বিধিতে কারা আইনি সহায়তা পাাওয়ার বিষয়টিও তা নির্ধারণ করা হয়। এখন দেশের সবক’টি জেলা আদালত, চৌকি আদালত এবং সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড সার্ভিস চালু রয়েছে।
২০০৯ সালে লিগ্যার এইডের মাধ্যমে ৯ হাজার ১শ’ ৬০ জন আইনি সহায়তা পায়। পরের বছর ২০১০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ২শ’ ৬৬ জনে।
এদিকে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) পরবর্তী কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ প্রণয়ন এবং সেবা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ডিজিটাল ডাটাবেস স্থাপন কার্যক্রম চলছে। জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার সহকারি পরিচালক ও সিনিয়র সহকারি জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব আজ বাসস’র সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী আইনগত সহায়তা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও সরকারি আইনগত কার্যক্রম আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণেন মাধ্যমে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে সাংস্থার ২০১২-২০১৭ সালের ১ম কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন পরবর্তী কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে।”
তিনি জানান, জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা দ্রুততম সময়ে সরকারী আইনি সেবা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ডিজিটাল ডাটাবেস স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে। কাজী ইয়াসিন জানান, “জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাল করতে পাইলট ভিত্তিতে দেশের ৭ টি জেলা অফিস অটোমেশন ও ডিজিটাল ডাটাবেইস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংস্থা এ প্রকল্পের আওতায় একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে যাতে পর্যায়ক্রমে সংস্থার অধীন সব অফিস যুক্ত হবে। যার মাধ্যমে কার্যক্রম তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।”

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে