গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার’ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার নেতৃত্বে দলটির একঝাঁক নেতা-কর্মী । বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শনিবার বেলা ৩ টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে যোগ দেয়। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উপস্থিত আছেন।
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখর করে তুলেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। যদিও এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নাগরিক ঐক্যের কোনো সভা-সমাবেশে স্লোগান দেয়া হয়নি। কিন্তু আজকের সমাবেশে খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তারেক জিয়াকে নিয়েও স্লোগান দেয়া হয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সোনা তামা হয়ে যায়, কয়লা মাটি হয়ে যায়। লাখ লাখ ব্যাংক লুট হয়, এমনকি লাখ কোটি টাকা লুটপাট হয়, কিন্তু মাত্র আড়াই কোটি টাকার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আজ জেলে। এ সবই সরকার রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই করছে। আমরা অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি চাই। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপি কর্মীরা তাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে স্লোগান মুখরিত হয়ে যায়। মান্নার অনেক অনুরোধের পর শান্ত হন তারা।
জাতীয় ঐক্যের সমাবেশে বিএনপি মুখর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খোদ জাতীয় ঐক্যের নেতা-কর্মীরা। অনেকেই নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে, সমাবেশ জাতীয় ঐক্যের নাকি বিএনপির?
সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত আছেন ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ঢাকসুর সাবেক সহসভাপতি সুলতান মনসুর আহমেদ, জাসদ (রব) সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।