নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭৮ সংশোধন না হলে বর্তমান আরপিও দিয়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন সচিব। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বলেও জানান তিনি।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আরপিও সংশোধনীর একটা প্রস্তাব আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠিয়েছি। সেটি উনারা মন্ত্রীসভায় উপস্থাপন করবেন। মন্ত্রীসভায় অনুমোদন হলে সেটা পার্লামেন্টে যাবে। এখন কী পর্যায়ে আছে, সেটা আমরা জানি না।
ইসি সচিব বলেন, আরপিও সংশোধনী যদি হয়, তাহলে ভালো। আর যদি নাও হয়, আগের আরপিও দিয়েও আমরা নির্বাচনের সব কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি আমাদের আছে।
যদি সংসদ নির্বাচনে নাও হয় তাহলে সামনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে জানান সচিব।
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ভোটকেন্দ্রের তালিকা মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সারা দেশের ভোট কেন্দ্রের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের তথ্য আমরা পেয়েছি। এগুলো মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তফসিল ঘোষণা করা হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে তালিকা পাঠাবেন। তখন রিটার্নিং কর্মকর্তার নামে ৩০০ আসনের গেজেট প্রকাশ করা হবে। এই ভোটকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমেই ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের ১০টি আঞ্চলিক এলাকায় ভোটার তালিকার সিডি পাঠানো আজ থেকে শুরু হচ্ছে বলেও জানান সচিব।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে আমরা ১০টি অঞ্চলে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানো শুরু করব আজ থেকে। সিলেট ও খুলনা, এই দুটি অঞ্চলে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানো হবে। বাকি ৮টি অঞ্চলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিডি পাঠানো হবে।