পাঁচ ‘এম’ বিধ্বস্ত করল পাকিস্তানকে

ক্রীড়া ডেস্ক​

ভারতের সাবেক ওপেনার এবং বাংলাদেশ নিয়ে যার কাছথেকে কখনোই কোনো ভালো কথা আশা করা যায় না, সেই শেবাগ পর্যন্ত টুইটারে অভিনন্দন জানাল বাংলাদেশকে। পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার পরপরই টুইট করেন শেবাগ।

সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ এখানে আন্ডারডগ নয়।এমনকি সমর্থকরা যেমনটা চাইবে তেমনটাও সব সময় ঘটে না। অধিকাংশই ধরে নিয়েছিল এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তান। কিন্তু আজ বাংলাদেশ ছিল সত্যিকারার্থেই সুপার। পাঁচ এম বিধ্বস্ত করে ছাড়লো পাকিস্তানকে। মুশফিক, মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজ এবং মিরাজ। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে আজ তারা। আর দুর্ভাগ্য পাকিস্তানের। ফাইনাল খেলতে পারছে না তারা।

সত্যিই তো বাংলাদেশের পাঁচ এমএর হাতেই বিধ্বস্ত হয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার লক্ষ্যে আজ ছিল বাংলাদেশপাকিস্তান অঘোষিত সেমিফাইনাল। এই ম্যাচের আগেই কি না জানা গেল খেলতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। তার আগে থেকেই নেই তামিম ইকবাল।

এমন পরিস্থিতিতে দলের লক্ষ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নও কঠিন হয়ে যায়। তবে, বাংলাদেশ দল তো আর শুধু তামিম আর সাকিব নির্ভর নয়। এখানে মুশফিকমাহমুদউল্লাহর মতো ক্রিকেটারও আছে। পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়ার পেছনে এদেরই অবদান বেশি।

ব্যাটেবলেফিল্ডিংয়ে ৫টি আদ্যক্ষরে এম দিয়ে শুরুকরা ক্রিকেটারই নাকানিচুবানি খাইয়েছে পাকিস্তানকে।শুরুতে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও মুশফিকুর রহীম আর মোহাম্মদ মিঠুন ১৪৪ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে বাংলাদেশের স্কোর চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে নিয়ে যান।

৬০ রান করে মিঠুন আউট হয়ে গেলেও ৯৯ রান করেনমুশফিক। মাহমুদউল্লাহও ছিলেন ভালো পারফরমার।ব্যাট হাতে করেছেন ২৫ রান। শুধু তাই নয়, বল হাতেপুরো ১০ ওভার বোলিং করে ৩৮ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণএক উইকেট দখল করেন তিনি। সঙ্গে ছিল তারঅসাধারণ ফিল্ডিংও।

মোস্তাফিজুর রহমান আর মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন বল হাতে দুর্বার। শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন তারা দুজন। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজ নিলেন উইকেট আর মিরাজ নিলেন উইকেট। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ যে ফিল্ডিং করেছেন, সেটাও অবিশ্বাস্য। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা যে জায়গা দিয়েই শট খেলেছে, সেখানেই ছিলেন মিরাজ। দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে বাঁচিয়েছেন অনেকগুলো রান।

অবশ্য এই পাঁচ এমএর সঙ্গে বড়এম যোগ করা হয়নি। তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা! যিনি নিজে ধরেছেন দুটি ক্যাচ। একটি তো শোয়েব মালিকের। ওই সময় মাশরাফি ক্যাচটা না ধরতে পারলে ম্যাচের চিত্র ভিন্নও হতে পারতো।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে