ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রুঢ় ও অবিকম্পিত কণ্ঠে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
আব্বাস বলেছেন, জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়। বৃহস্পতিবার সাধারণ অধিবেশনে তার বক্তব্য রাখেন আব্বাস। একইদিন, নিজের বক্তব্যে ইরানের পারমাণবিক চুক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেন ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
আব্বাস তার ভাষণ শুরু করেন জেরুজালেম ইস্যু দিয়ে।
তিনি বলেন, জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়।
এরপর ইসরাইলের জাতিবিদ্বেষী ইহুদি-রাষ্ট্র আইনের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনার অযোগ্য ‘ইসরাইল সমর্থন’ নিয়ে নিন্দার তীর ছুড়েন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট।
ইসরাইলের ইহুদি-রাষ্ট্র আইন নিয়ে আব্বাস বলেন, এই আইন অপ্রতিরোধ্যভাবে একটি জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্রের জন্ম দেবে। একটি স্বাজাতিবাদী রাষ্ট্রের জন্ম দেবে। আর এতে করে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে সম্ভাবনা ধ্বংস করে দিচ্ছে।
ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের পর এটাই জাতিসংঘে দেওয়া আব্বাসের প্রথম ভাষণ। ভাষণে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘নতুন চোখে’ দেখে। শান্তি প্রক্রিয়ায় কোন নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখে না।
তিনি বলেন, এই প্রশাসন পূর্ববর্তী সকল মার্কিন প্রশাসনের করা প্রতিশ্রুতি পরিত্যাগ করেছে ও দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান কলুষিত করেছে।
এরপর তার বক্তব্যে আব্বাস আরো দেশের প্রতি, ফিলিস্তিনকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহবান জানান। যাতে করে জাতিসংঘ ইসরাইলের ওপর তাদের মনন প্রয়োগ করতে পারে। তিনি বলেন, বাস্তবায়ন ছাড়া সাধারণ অধিবেশনের প্রবর্তন পর্যাপ্ত নয়। ১৯৪৯ সালে থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ৭০০ পাস হওয়া মননের একটিরও বাস্তবায়ন করেনি ইসরাইল ।
এ ছাড়া ইউএনআরডব্লিউএ নিয়েও কথা বলেন আব্বাস।
সূত্র : আল জাজিরা