পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় ৭১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ডেস্ক রিপোর্ট

আগারগাঁও পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক দুই পরিচালকসহ (বরখাস্ত) ৭১ জনের বিরুদ্ধে বেসরকারি ৬৫ জন ব্যক্তিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের নামে পাসপোর্ট ইস্যুর ঘটনায় চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। ৭১ আসামির মধ্যে বরখাস্ত হওয়া সাবেক দুই পরিচালকসহ পাসপোর্ট অধিদফতরের ৮ জন কর্মকর্তাও রয়েছেন।

universel cardiac hospital

এরা হলেন- সাবেক পরিচালক (বরখাস্ত) মুনসী মুয়ীদ ইকরাম, পরিচালক (প্রশাসন) এস এম নজরুল ইসলাম, সাবেক সহকারী পরিচালক (বরখাস্ত) এসএম. শাহ্জামান, সাবেক সহকারী পরিচালক (বরখাস্ত) উম্মে কুলসুম, সাবেক সহকারী পরিচালক (বরখাস্ত) নাসরিন পারভীন নুপুর, সাবেক উচ্চমান সহকারী (বরখাস্ত) মো. শাহজাহান মিয়া মো. সাইফুল ইসলাম ও আমেরিকার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের উচ্চমান সহকারী মো. আনোয়ারুল হক।

এছাড়া চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে যে ৬৫ জনের নামে সরকারি কর্মকর্তা সাজিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় তাদেরও চার্জশিটে আসামি করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেছিল দুদক। মামলাটির তদন্ত করেন দুদকের উপপরিচালক মো. বেনজির আহমেদ। তিনি তদন্ত শেষে ৭১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করলে তা অনুমোদন হয়।

চার্জশিটে বলা হয়, পাসপোর্ট অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা (আসামি) পরপর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ৬৫ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেখিয়ে তাদের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মে মাসের মধ্যে।

পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার নাম ও পদবি ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করেন। জাল অনাপত্তিপত্র (এনওসি) তৈরি করে তা আগারগাঁওয়ের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরের ভুয়া ও জাল অনাপত্তিপত্র (এনওসি) ব্যবহার করে ৬৫টি সাধারণ পাসপোর্টকে অফিসিয়াল পাসপোর্টে রূপান্তর করেন।

ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে যান এবং বসবাস করছেন। এ রকম ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহারকারী ৪ জন বাংলাদেশি ব্যক্তি তুরস্ক পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হন এবং তাদের জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটিত হওয়ার পর তুরস্ক সরকার তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠান।

এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি জানাজানি হলে অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক। করা হয় মামলা। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ৭১ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে