আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্রহীন পরিবেশ তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য চেয়েছেন।’
শনিবার কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে মুসলিম লীগের নবম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বি. চৌধুরী বলেন, ‘এই যে ছলচাতুরীর নির্বাচন, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং- ভবিষ্যতে এগুলো হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে, গণতন্ত্র চিরকালের জন্য নির্বাসিত হয়ে যাবে। সুতরাং, এবারের সংগ্রাম মানুষের অধিকারের সংগ্রাম।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তিকে জেগে উঠতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে এবং বলতে হবে যে, এই ধরনের কৌশলের নির্বাচন আমরা মানব না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই হবে এবার এক নম্বর সংগ্রাম। এটাই হলো বাংলাদেশের ইতিহাসের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর একমাত্র উপায়।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গে বি চৌধুরী বলেন, ‘তাদের প্রধানতম ব্যক্তি বললেন, এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন, অচিরেই আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা করব, সব দল অংশগ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘কথা দিয়ে কথা রাখল না এরা। ওয়াদার বরখেলাপ করল। পবিত্র কোরআনে আছে ওয়াদার বরখেলাপকারী সত্যিকার মুসলমান নয়।’
মুসলিম লীগের নেতাদের সময়ের সঙ্গে যুগোপযোগী করে দলকে এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অনেকেরই প্রাথমিক শিক্ষা ছিল মুসলিম লীগ। আপনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলেন, উনি মুসলিম লীগ ছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগ ছিলেন, শেরেবাংলা ফজলুল হক মুসলিম লীগ ছিলেন। আমার বাবা মুসলিম লীগ ছিলেন। তার মানে, যারা সংগঠন করেছেন, তারা কোনো না কোনো পর্যায়ে মুসলিম লীগ ছিলেন।’
বি চৌধুরী বলেন, ‘এরপর রাজনীতি পটপরিবর্তন হলো, সেই প্রক্রিয়ায় মুসলিম লীগ পিছিয়ে পড়ল। কী অপরাধ, কী ভুলত্রুটি, সেটা আপনারা জানেন, আপনাদের ব্যাপার। আমি বলতে চাই, জামানা বদলে গেছে, স্বীকার করেন না কেন?’
দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে সভায় খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজি হুজুর, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি ববি হাজ্জাজ, কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম, ওয়াজিব আলী মোড়ল, আবদুর রশিদ খান চৌধুরী, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, আবদুল আজিজ হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।