আল্লামা শফীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনার সিদ্ধান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের আলেমরা বহুল আকাঙ্ক্ষিত কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় সংবর্ধনা দেবেন। চলতি মাসেই বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

সোমবার আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যে ৬ বোর্ডের অধীনে সেই বোর্ডগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশের অধীন কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস তাকমিলের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবির সমমান প্রদান) বিল ২০১৮ গত ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে কওমি মাদ্রাসার প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সনদের স্বীকৃতির দাবি দীর্ঘদিনের। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় কওমি আলেমদের শীর্ষ নেতা আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে প্রধান করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সে সময় নিজেদের মধ্যে বিরোধের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ শক্তির বিরোধিতায় সেটা আর আগায়নি।

পরে ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল গণভবনে শাহ আহমদ শফীসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের উপস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর দুই দিন পর কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে আদেশ জারি করে সরকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) উচ্চপর্যায়ের আলেমদের সঙ্গে দফায় দফায় বসে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে।

কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বিশেষ অনুগ্রহ’ হিসেবে দেখছে আলেমরা। স্বীকৃতি ঘোষণার পর শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল হয়েছে। এবার সারাদেশের আলেমদের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত এলো।

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে বৈঠকে হাইআতুল উলয়ার নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা আনোয়ার শাহ, আল্লামা মাহমূদুল হাসান, আল্লামা আবদুল হালিম, আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা আরশাদ মাদানী, মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল বছির, মুফতি এনামুল হাক, মাওলানা শামসুল আলম ও মুফতি ফয়জুল্লাহ প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা উপলক্ষে ইতোমধ্যে আল্লামা আশরাফ আলীকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে