‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি তদন্তের নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি

হাইকোর্ট ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ নামক বইয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তদন্তে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অর্থ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রিটকারী দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার সম্পাদক কাজী এরতেজা হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৮ সালে এসেও কিছু ষড়যন্ত্রকারী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে চায়। এ কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ কয়েকজন মিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননা করেছে। এমন অন্যায় মানতে পারিনি বলেই মহামান্য হাইকোর্টে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার চেয়ে রিট করেছি।

আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালে ২০১৩ সালে বইটির পাণ্ডুলিপি তৈরি ও প্রকাশনার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটি ও সম্পাদনা কমিটি নামে দুটি পৃথক কমিটিও করা হয় সে সময়। পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করার পর ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’। গত ২৫ মার্চ অনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বর্তমান গভর্নর ফজলে কবির।

বইটিতে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের নাম থাকায় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সংবাদ প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়ে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থটি। বইটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বইটি নতুন করে সম্পাদনা করা সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে গভর্নর বইটির বিতরণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং পর্যালোচনার জন্য একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র মতে, বইটি প্রকাশের আগে সম্পাদনার দায়িত্বে বেশ কয়েকবার রদবদল হয়। সর্বশেষ এ দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভংকর সাহা। তার আগে দায়িত্ব পালন করেন আরেক নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মাহাফুজুর রহমান। তারা দুজনই অবসরে গেছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে