সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেন আরিফুল হক চৌধুরী।
সোমবার বিকালে করপোরেশনের সচিব মো. বদরুল হকের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেন আরিফুল।
এর আগে তার দ্বায়িত্বগ্রহণ উপলক্ষ্যে নগর ভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুুষ্ঠিত হয়।
গত ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে ৬ হাজার ১৯৬ ভোটে পরাজিত করে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার জয়লাভ করেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। গত ৫ সেপ্টেম্বর তাকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে আরিফুল পেয়েছেন মোট ৯২ হাজার ৫৮৮ ভোট। আর তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দীন আহমদ কামরান পান ৮৬ হাজার ৩৯২ ভোট।
দ্বায়িত্ব গ্রহণকালে মেয়র আরিফুল জানান, নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে নতুন সিলেট গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েই তিনি পথচলা শুরু করেছেন। সব কিছুর আগে গত মেয়াদের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান বলে জানান আরিফুল।
এছাড়াও দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে পরিচ্ছন্ন, যানজটমুক্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক সিলেট গড়তে সকল মহলের সহযোগিতা চান আরিফুল।
আরিফ বলেন, সবাই মিলে পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে ‘নতুন সিলেট’ গড়া সম্ভব। এই ‘নতুন সিলেট’ হবে পরিচ্ছন্ন, থাকবে না কোন যানজট, থাকবে না তারের জঞ্জাল, তার যাবে আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে।
‘নতুন সিলেটে’ থাকবে খোলা উদ্যান, থাকবে বহুতল বিশিষ্ট পার্কিং ভবন। থাকবে ‘সিলেট টাওয়ার’। উঁচুতম এই স্থানকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হবে অন্যরকম এক আবহ, যেখানে উপস্থাপিত হবে সিলেটের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি।
সিলেট টাওয়ার-এর উপর দাঁড়িয়ে থেকে পর্যটকরা শুধু সিলেটের উঁচু-নিচু টিলা আর সবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখেই মুগ্ধ হবেন না, তাদের জন্য সেখানেই থাকবে এক ‘টুকরো মিনি সিলেট’।
সিলেট নগরীকে সম্পূর্ণ জলাবদ্ধতামুক্ত করা, ছড়া-খাল দখলমুক্ত রাখা, সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, ওয়াইফাই নগরী গড়ে তোলা, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা ও হকারদের পুনর্বাসন, টাউন বাস চালু করা এবং পরিচ্ছন্ন পর্যটন নগরী গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার কথা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী।