গত সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা ‘কাল্পনিক’৪ হাজার মামলা এবং ৩ লাখেরও বেশি লোককে আসামি করার বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দিবেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালত বলেন, এই কাল্পনিক বা গায়েবি মামলা দায়ের করায় পুলিশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, রিটে সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবেধ ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়।
রিটে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া এসব মামলা দায়েরের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রুল জারিরও আরজি জানানো হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, প্রাক্তন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাদী হয়ে এ রিট করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।