গ্রেনেড হামলা : “দ্রুত রায় কার্যকর হওয়াটা দেখে যেতে চাই”

ডেস্ক রিপোর্ট

“আশা ছিল রায়ে তারেক রহমানের ফাঁসি হবে কিন্তু হলো না। তবে আদালতের রায়ে আমরা খুশি। এই বৃদ্ধ বয়সে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মৃত্যুর আগে দ্রুত রায় কার্যকর হওয়াটা দেখে যেতে চাই ”। একুশ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর এমনটাই প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন গ্রেনেড হামলায় নিহত ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী মামুন মৃধার বাবা ও মা। মামুন মৃধা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম আলিপুরা গ্রামের দিনমজুর মতলেব মৃধা ও মোর্শেদা বেগমের একমাত্র ছেলে ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তৎকালীন বিরোধী দলীও নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইতিহাসের জঘণ্য ও নৃশংসতম গ্রেনেড হামলা করা হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ ২৪ জন। আহত হন শত শত নেতাকর্মী। নিহত ২৪ জনের মধ্যে ছিল পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম আলিপুরা গ্রামের দিনমজুর মতলেব মৃধার একমাত্র ছেলে মামুন মৃধা। মেধাবী ছাত্র মামুন মৃধা ছিল ঢাকা কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিার্থী ও ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী।

universel cardiac hospital

একমাত্র সন্তান হারানো বেদনায় এখনও ঢুকরে কেঁদে ওঠেন বাবা মতলেব মৃধা ও মা মোর্শেদা বেগম। এক সময় ভেবেছিলেন সন্তান হারানোর বিচার আর হবে না। তবে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বিচারের আশা আবার ফিরে পেয়েছিলেন হতভাগ্য ওই বাব-মা। বিচারের আশায় ১৪টি বছর অপেক্ষায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা হয়েছে নৃশংস ওই হত্যাকান্ডের। রায়ে খুশি নিহত মামুনের বাবা ও মা, তবে তারা আশা করেছিলেন তারেক রহমানের ফাঁসি হবে। কিন্তু সেটা না হলেও তারা রায় দ্রæত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।

বৃহষ্পতিবার ২১ আগষ্টে চালানো গ্রেনেড হামলায় সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস ছালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী এবং সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শহেদ নূর উদ্দিন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে