গ্রেনেড হামলা মামলা : এবার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি

ডেস্ক রিপোর্ট

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা দায়েরের পর ১৪ বছর পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হলো গতকাল বুধবার। বিচারিক আদালতের এ রায় ঘোষণার পর মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের ডেথ রেফারেন্স এবং অন্য আসামিদের পক্ষে হাইকোর্টে খালাস চেয়ে আপিল শুনানি হবে। পাশাপাশি আশানুরূপ সাজা না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষেরও সুযোগ থাকবে আসামিদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টে বর্তমানে প্রায় ২০০ মামলার ডেথ রেফারেন্স রয়েছে। সেগুলোর শুনানি হচ্ছে ৪-৫ বছর ধরে। সেক্ষেত্রে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি দ্রুততম সময়ে শুরু হলেও শেষ হতে একটা লম্বা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা আইনজীবীদের।

universel cardiac hospital

তবে সরকার যদি বিশেষভাবে মামলাটি হাইকোর্টের কোনো নির্দিষ্ট বেঞ্চে শুনানি করতে চায় তাহলে আরও আগে এ মামলার শুনানি শেষ হবে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ও আপিলের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আসামিদের অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, রায়ের পর এখন কপি চেয়ে আমরা বিচারিক আদালতে আবেদন জানাব। কপি হাতে পেলে রায়টি ভালো করে পড়া হবে। এরপর রায়ের পর্যবেক্ষণ ও সাজার অংশ পড়ে মামলার আসামিরা আপিলের সিদ্ধান্ত নিলে হাইকোর্টে যাব। এরপর এই মামলার ওপর হাইকোর্টে উভয়পক্ষের শুনানি হবে। শুনানি শেষে মামলাটির রায় দেবেন হাইকোর্ট।

ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালতের রায় হওয়ার কতদিনের মধ্যে আপিল করতে হয় সে বিষয়ে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রায় হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। তারা চাইলে জেল আপিল করারও সুযোগ পাবেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়।

এ মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে কারা আপিল করতে পারবেন আর কারা পারবেন না সে বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিচারিক আদালতের রায় হাতে পাওয়ার পর মামলার সব আসামিই খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন। তবে এ মামলায় যারা পলাতক, তারা আপিলের সুযোগ পাবেন না।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল ১-এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন। রায়ের সময় ৩১ আসামি আদালতে হাজির ছিল। এ মামলায় জীবিত ৪৯ আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্যদের দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।

আর পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে