আওয়ামী লীগই নিজেদের সভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে : রিজভী

ডেস্ক রিপোর্ট

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগই নিজেদের সভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন রুহুল কবির রিজভী। কার মতে, এই হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ এক ঢিলে কয়েকটি পাখি মেরেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গেম প্ল্যান খুব স্পষ্ট। আইন, আদালত, বিচার তাদের হাতের মুঠোয় থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় একের পর এক সাজা দিয়ে ফাঁকা ময়দানে ইলেকশনের নামে সিলেকশন করে ক্ষমতা ধরে রাখা। সেজন্যই ছিনতাইবাজ সরকার গণতন্ত্র ছিনতাই করে ফ্যাসিবাদের বিশুদ্ধ শাসন কায়েম করেছে।

রোববার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়ম যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে থাকার সময় এই হামলায় ২৪ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয় কয়েকশ মানুষ। এই হামলার পর আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনী হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করার পাশাপাশি আলামত গোপন করেছে বলে আদালতের রায়ে প্রমাণ হয়েছে। রায়ে মন্তব্য করা হয়েছে, এই হামলা হয়েছে রাষ্ট্রীয় মদদে।

তবে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে এক ঢিলে কয়েকটা পাখি মারার কাজ নেপথ্যে ও প্রকাশ্যে সম্পন্ন করেছে। সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা, আওয়ামী লীগের প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সহানুভূতির সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে জঙ্গি সরকার বা তার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে প্রমাণ করা। সব বিচার বিশ্লেষণে এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ সৃষ্টি হয় যে, ২১ আগস্ট বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ বা তাদের শুভাকাঙ্খীরাই দায়ী।

এই হামলায় বিএনপির সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে রিজভী আরও বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতাসীন বিএনপি নেতৃত্ত্বাধীন জোট সরকার এমন হঠকারী কাজ করে নিজেদের পাকা ধানে মই দেয়ার মতো নির্বোধ কাজ করবে- এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।

পিলখানা হত্যা নিয়ে রিজভীর প্রশ্ন :

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যার যে ঘটনা ঘটেছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, দরবার হলের এ ধরনের অনুষ্ঠানে সবসময় প্রধান অতিথি থাকেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কেন সেদিন যাননি? এবং সদরদপ্তরের বাইরে হত্যাকারী ঘাতকদের নেতা ডিএডি তৌহিদসহ তার সঙ্গীদের সাথে প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেন।

তিনি জানতে চান, তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিন দ্রুত বিডিআর সদর দপ্তরে সেনাবাহিনী পাঠানোর নির্দেশ চেয়েছিলেন, কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার সেই নির্দেশ দেয়নি। কেন এই বিলম্ব করা হলো? আর এই বিলম্ব না হলে প্রাণ দিতে হতো না অর্ধশতাধিক চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের। এর জন্য কি আওয়ামী সরকার দায়ী নয়? তাছাড়া একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে যে তদন্ত হয়েছিল সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি? সে আলোকে কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি কেন?

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে