ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে এবার ২৬.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় ‘ঘ’ ইউনিটে পাসের এই সংখ্যা দ্বিগুণ। অনেকে পাসের হারের এই হঠাৎ বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক মনে করছেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এই ফল প্রকাশ করেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, ‘ঘ’ ইউনিটের সমন্বয়কারী সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৭০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৮ হাজার ৪৬৩ জন ভর্তিচ্ছু। পাসের হার ২৬.২১শতাংশ। গত তিন বছরে ‘ঘ’ ইউনিটে পাসের পরিসংখ্যান দেখা যায়, ২০১৫-১৬ সেশনে পাসের হার ছিল ৯.৯৪ শতাংশ, ২০১৬-১৭ সেশনে পাসের হার ৯.৮৩ শতাংশ, ২০১৭-১৮ সেশনে ‘ঘ’ ইউনিটে সম্মিলিত পাসের হার ছিল ১৪. ৩৫ ভাগ। কিন্তু ২০১৮-১৯ সেশনে পাসের হার ২৬.২১ শতাংশ। যা অন্যবারের তুলনায় দ্বিগুণ।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের মধ্যে পাসের হার এত বেশি কি প্রমাণ করে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এবার ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নে ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের বাংলাদেশ বিষয়াবলী অংশ সাবলীল ছিল।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ফল প্রকাশের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা আমাদের কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে প্রমাণ সহকারে ব্যবস্থা নেওয়া ও পরীক্ষার সংস্কার রয়েছে। অ্যাকাডেমিক কমিটি পরীক্ষা সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে।
এর আগে গত শুক্রবার ‘ঘ’ ইউনিটে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। একজন ভর্তিচ্ছুর মেসেঞ্জারে পরীক্ষার পূর্বে ৯টা ১৭ মিনিটে উত্তরসহ পরীক্ষার ৭২টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এই প্রশ্নের সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হুবহু মিল পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ভর্তিচ্ছুর নামসহ অজ্ঞাত ডিজিটাল প্রশ্নফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।