মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। টুর্নামেন্টে ভালো করার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের অধিনায়ক ও কোচ।
এর আগে দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই আসরে আট ম্যাচে জয় মাত্র একটি। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে একমাত্র জয়টা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ভারতে ২০১৬ সালে পরের আসরে চার ম্যাচের সবগুলোতেই হার সঙ্গী করে বাংলাদেশ।
তবে দুই বছরে বাংলাদেশ দল বদলে গেছে অনেকটাই। গত জুনে আগের ছয় আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জিতেছে এশিয়া কাপ শিরোপা। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জায়গা করে নিয়েছে মূল মঞ্চে।
মূল মঞ্চে অবশ্য বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশকে লড়তে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। সেরা দুই দল পাবে সেমিফাইনালের টিকিট। গ্রুপটা কঠিন হলেও ভালো কিছুরই আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন।
মিরপুরে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে সালমা বলেছেন, গ্রুপ দুটোই বেশ শক্তিশালী, দুটো গ্রুপকেই শক্তিশালী করে দেখা হচ্ছে। এখন কিন্তু আমাদেরকে নিয়েও সবাই চিন্তা করে। আশা করছি সবকিছু মিলিয়ে আমরা খুব ভালো করব। সবাইকে আশা দিতে পারি এবার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সেজন্য অবশ্য ১০-১২ দিন আগেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ভালো করার আশা সালমার।
তিনি বলেন. কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই আমরা ১০-১২ দিন আগে যাচ্ছি। ওদের কন্ডিশন, আবহাওয়া এবং উইকেট নিয়ে আমাদের সবই অজানা। আমরা যেহেতু আগে যাচ্ছি, তাই আশা করছি সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমরা ভালো করব।
কোচ আঞ্জু জাইনের কণ্ঠেও আত্মবিশ্বাসের সুর, সবাই এই মুহূর্তে দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আমি আশা করি এই বিশ্বকাপটি আমাদের জন্য দারুণ হতে যাচ্ছে। মেয়েরা ভালো ফলাফল করবে আশা করি।
আগামী ৯ নভেম্বর গায়ানায় বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। ১২ নভেম্বর সালমাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ১৪ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ দল।