দণ্ডিত মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের আদেশ বিকেলে

ডেস্ক রিপোর্ট

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে করা আপিল ও অন্য দুই আসামির আপিল এবং সাজা বাড়ানোর দুদকের আবেদনের বিষয়ে আজ বুধবার আদেশ দেয়া হবে। আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় এ বিষয়ে আদেশের জন্য রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন।

universel cardiac hospital

এদিকে আজ রায়ের জন্য দিন ঠিক করবেন নাকি নথিপত্রের বিষয়ে আদেশ দেবেন তা উভয়পক্ষের আইনজীবীরা পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি।
গতকাল মঙ্গলবার এ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শেষ করে। শুনানিতে দুদক আইনজীবী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করার আর্জি জানান। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল ৫ বছরের সাজাই বহাল চেয়েছেন। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন। এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বাড়ানোর জন্য দুদকের করা আবেদনে সাজা বাড়ানোর কেন করা হবে না মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। এখন তিন আসামির আপিল ও দুদকের আবেদনের রুল আদালতে শুনানি হয়।

মামলায় খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ হাইকোর্ট চার মাসের জামিন দেন। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফা তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন হলেও পরে আর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে