সাফল্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুপুরে মাঠে নামছে টাইগাররা

সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। ২২ ওয়ানডে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছে ৯ সিরিজ। এবার সেই সাফল্য পাতায় এবার আরেকটি অর্জন উঁকি দিচ্ছে।

আজ বুধবার দুই দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। প্রথম ওয়ানডে ২৮ রানে জিতে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে। আজ বিজয়ের পতাকা উড়ালে বাংলাদেশের সাফল্য ভান্ডারে যুক্ত হবে আরেকটি সিরিজ।

নিজেদের পয়মন্ত মাঠে বাংলাদেশ খেলতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম বিভিন্ন কারণে ক্রিকেটারদের প্রিয়। এবার সেখানেই জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এখানে ১৭ ম্যাচে ১০টি জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখানে নেই হারের কোনো রেকর্ড। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিই জিতেছে বাংলাদেশ। তাইতো হট ফেভারিট বাংলাদেশ এ ম্যাচেও ফেভারিট। তবে কাজটা কি খুব সহজ? মোটেও না।

অবশ্য মাশরাফি সতর্ক করার জন্য বললেন, ওদের সব সিনিয়র খেলোয়াড়রাই এসেছে। তারা তাদের সেরা খেলা খেললে আমাদের জন্য কঠিন হবে। সেজন্য আমরা এশিয়া কাপে যে মানসিকতা নিয়ে খেলেছি এখানেও আমরা সেই মানসিকতা নিয়েই খেলব। আমরা কোনো যেন ভুল না করি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এখানে আমরা হংকংয়ের সাথে হেরেছি। তাই আমরা কোনো সুযোগ দিতে চাই না।

মাশরাফির কথার সাথে কাজের প্রমাণ পাওয়া গেল মাঠেই। গতকাল সংবাদ সম্মেলনের আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই কঠোর পরিশ্রম করেছে বাংলাদেশ। অনুশীলনে নামার আগে চলে টিম মিটিং। প্রায় ১০ মিনিটের টিম মিটিং শেষে স্কিল অনুশীলনে নামে দল।। পুরো দলকেই লাগছিল তরতাজা, প্রাণবন্ত। দল যে প্রথম জয়ের পর আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না তা তাদের শারীরিক ভাষা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।

ওয়ানডে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ১১ ম্যাচেই জয় নেই জিম্বাবুয়ের। তবুও বাংলাদেশকে হারানোর প্রত্যয় জিম্বাবুয়ের। এজন্য কোচ লালচাঁদ রাজপুত সিনিয়র ক্রিকেটরাদের দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে হবে। মাসাকাদজা প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিল। আশা করি মূল সিরিজেও সেই ধারা ধরে রাখতে পারবে। ব্রেন্ডন টেইলর শুরুটা ভালো করছে, শেষ করতে পারছে না। আশা করি তারা বড় স্কোর পাবে। আমি নিশ্চিত যে তারা বড় ইনিংসের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি বড় ইনিংস আসছে।

দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজপুতের অধীনে ১৫ ম্যাচ খেলেছে জিম্বাবুয়ে। ১৫টিতেই হেরেছে তারা। মাঝে দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা বাইরে ছিলেন। তারা ফিরে আসার পর পারফরম্যান্সের কোনো উন্নতি হয়নি। তার দল পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার খুব কাছেই আছে বলে বিশ্বাস রাজপুতের। বলেনন আমরা সবাইকে একসঙ্গে পেয়েছি, দিনটা শিগগিরই আসবে, যেদিন আমরা শেষ করে আসতে পারব।

এই ‘শেষ’টা আজই নাকি সেটা দেখার অপেক্ষা। তবে জহুর আহমেদে শেষ করে আসতে না পারলে জিম্বাবুয়ে পাবে আরেকটি সিরিজ হারের লজ্জা। বাংলাদেশের সাফল্যের পাতায় যুক্ত হবে আরেকটি অর্জন।

আজকের খেলায় দু’দলের সম্ভাব্য একাদশ :

বাংলাদেশ : লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে রাব্বী, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাজমুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে : হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, কেপাস জুয়াও, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, শেন উইলিয়ামস, পিটার মুর/তারিসাই মুসাকান্দা, ডোনাল্ড তিরিপানো, ব্রেন্ডন মাভুতা, কাইল জার্ভিস, তেন্দাই চাটারা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে