আদালত রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মামলায় জাবালে নূরের মালিকসহ ছয়জনের বিচারকাজ শুরুর জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস আজ বৃহস্পতিবার ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য এ দিন ধার্য করেন।
ছয় আসামির মধ্যে জাবালে নূরের একটি বাসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন এবং আরেক বাসচালক মো. জোবায়ের সুমন অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জোবায়ের সুমন যে বাসের চালক ছিলেন, তার মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজীকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হচ্ছে।
কাঠগড়ায় উপস্থিত চার আসামি অভিযোগ গঠনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তাদের পক্ষ থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হলেও বিচারক তা নাকচ করে দণ্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। আদালত ও তদন্ত সূত্র জানায়, চার্জশিটে আসামিদের ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত না করে ৩০৪ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত করা হলে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে চিহ্নিত হতো এবং এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া সম্ভব হতো। মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার পরিবর্তে ৩০৪ ধারায় অভিযুক্ত করায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মতে এটি দুর্ঘটনা। আর কোনো দুর্ঘটনা ইচ্ছাকৃত হয় না। জবানবন্দিতে ঘাতক চালক স্বেচ্ছায় গাড়িচাপা দেয়ার কথা উল্লেখ করলেও এটি পূর্বপরিকল্পিত না। তাই ৩০৪ ধারায় আসামিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় শাস্তির বিধানে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি খুনের অপরাধ করলে ওই ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবে। অন্যদিকে ৩০৪(খ) ধারার শাস্তির বিধানে বলা আছে- কোনো ব্যক্তি বেপরোয়া যান চালিয়ে বা অবহেলার মাধ্যমে যান চালিয়ে কারও মৃত্যু ঘটলে দায়ী চালককে তিন বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদে কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।