হাইকোর্ট পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা, শিক্ষার্থী ও গাড়ি চালকদের শরীরে-মুখে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন ।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রুলে পরিবহন ধর্মঘটের নামে সংঘটিত সব ভয়ঙ্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন, পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের ডিসি এবং এসপিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের দাবিতে গত রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
এ কর্মবিরতি চলাকালে সাধারণ চালক, শিক্ষার্থীদের শরীরে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেয়। এছাড়া এমনকি মৌলভীবাজারে অ্যাম্বুলেন্সও আটকে দেয়। এতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদযুক্ত করে এ রিট করা হয়।