চাকাবা ফিরতেই যেন পথ হারায় জিম্বাবুয়ে। যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন একের পর এক ব্যাটসম্যান। সবশেষ সাজঘরের পথ ধরেন টেন্ডাই চাতারা।
ফের শিকারী সেই তাইজুল ইসলাম। লিটন দাসের তালুবন্দি করে তাকে ফেরান তিনি। সব মিলিয়ে বাঁহাতি স্পিনারের শিকার ৬ উইকেট। এ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ৫ উইকেট শিকার করলেন পরীক্ষিত এ সৈনিক।
এর আগের শিকারটিও তাইজুলের। মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে কাইল জার্ভিসকে ফেরান তিনি। একরকম দ্বিতীয় দিনে তার স্পিন বিষে নীল হয়েছে জিম্বাবুয়ে। ২৮২ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছে লালচাঁদ রাজপুতের দল। সবাই এলে-গেলেও শেষ পর্যন্ত থেকে গেছেন মুর। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি (৬৩) তুলে নিয়েছেন তিনি। শেষদিকে তার লড়াকু ব্যাটেই এ সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারীরা।
পরে ব্যাট করতে নেমে ২ রান তুলে ফেলেছে বাংলাদেশ। ১ রান করে নিয়ে অপরাজিত আছেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। প্রথম সেশন শেষে এখন চলছে লাঞ্চ বিরতি।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। পিটার মুর ৩৭ ও রেজিস চাকাভা ২০ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। যত দ্রুত সম্ভব সফরকারীদের গুটিয়ে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চেষ্টাও চালান টাইগাররা। কিন্তু সাফল্য আসছিল না। তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান মুর ও চাকাভা। ছন্দময় ব্যাটিং করেন তারা। বুক চিতিয়ে লড়তে থাকেন এ জুটি।
তবে হঠাৎই ছন্দপতন। খেই হারান চাকাভা (২৮)। শর্ট লেগে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ২৬১ রানে তার বিদায়ে ভাঙে ৬০ রানের জুটি। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল।
দ্বিতীয় সাফল্য পেতেও সময় লাগেনি টাইগারদের। খানিক পরই মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। আবারো শিকারী সেই তাইজুল। এরপর সাজঘরের পথ ধরেন ব্রেন্ডন মাভুতা। এবার প্রতিপক্ষ শিবিরে ছোবল মারেন নাগিনখ্যাত নাজমুল ইসলাম অপু। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাকে ফেরান তিনি।
সিলেট টেস্টের প্রথম দিন দেখা গেছে ব্যাট-বলের দারুণ লড়াই। শন উইলিয়ামস (৮৮) ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজার (৫২) ফিফটিতে আড়াইশ রানের কাছে গিয়ে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম দিন তাইজুল ইসলাম শিকার করেন ২ উইকেট। ফলে দিন শেষে দুই দল প্রায় সমানে-সমান থাকে।