জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, পুলিশ, আনসারের তো যথেষ্ঠ ক্ষমতা নেই। কোনো বিশৃঙ্খলা হলে সেনাবাহিনী যাতে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে সেটা আমরা বলেছি। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকটি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়, যা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
আ স ম রব বলেন, আমাদের প্রস্তাব উনারা (ইসি) বিবেচনায় নিয়েছেন। আমরা বলেছি- ইসি তো নিরপেক্ষ সংস্থা। আপনারা সিরিয়াস হবেন না। আরও বলেছি নির্বাচনের পরও অর্থাৎ ২০১৯ সালের পরও তো দেশে আপনাদের থাকতে হবে। সেই কথাটা ভেবেই আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন।
ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেছি আমরা চাই না, কেউ চায় না ভোটাররাও চায় না নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হোক। পোলিং এজেন্টদেরও নিরাপত্তা দিতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে সাদা কাগজে তাদের কাছ থেকে কোনো সই নেওয়া যাবে না। ফল গণনার পর প্রথমেই তাদের দেখাতে হবে।
জেএসডি সভাপতি রব বলেন, ৭ নভেম্বর (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ আছে। সেই সংলাপের ফলাফল জেনেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
এর আগে বৈঠকে যোগ দিতে আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে আসে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লাহ বুলুসহ আরো পাঁচ নেতা।