আবারও সমুদ্রপথে মানবপাচারে সক্রিয় দালালচক্র, উদ্ধার ১৪

সারাদেশ ডেস্ক

ফাইল ছবি

দালালরা আবারও সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া মানবপাচারে সক্রিয় হতে চেষ্টা চালাচ্ছে। কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় তিন দিন-রাত বঙ্গোপসাগরে ভাসার পর মঙ্গলবার ভোরে কুলে তুলে দেয়া ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তারা সবাই টাকার বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাবার জন্য নৌপথে রওয়ানা দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমদ্দার এবং টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রদীপ কুমার দাস মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

universel cardiac hospital

বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ ঘোলা পাড়া এলাকা থেকে পাঁচ নারীসহ ১৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে বিজিবি। তারা সবাই উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।

উদ্ধার রোহিঙ্গারা হলেন— উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের বিবি খদিজা (১৮), মো. ইসলাম (২৬), মধুরছড়া ক্যাম্পের খুরশিদা (১৮) একই ক্যাম্পের রফিজা (১৮), থ্যাংখালী ক্যাম্পের আনোয়ারা বেগম (১৮), খাইরুল আমিন (১৮), মোহাম্মদ রহিম উল্লহ (১৬), জাকের আহমদ (১৯) ও নুর বাহার (১৮)। টেকনাফ নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ হোসেন (১৭), জামতলী রোহিঙ্গা শিবিরের মোহাম্মদ ইয়াছি (২২), কতুপালং ক্যাম্পের ফরিদুল আলম (১৮), সাইদুল আমিন (১৯) ও তার ভাই মোহাম্মদ সুলতান (৪৫)।

বিজিবির হেফাজতে থাকা রোহিঙ্গা সোলতান আহম্মদ বলেন, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আয়ুব আলী নামে এক রোহিঙ্গা দালাল ট্রলারে করে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে জনপ্রতি এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকায় কনট্রাক্ট করে। এ জন্য তিনি অগ্রিম ২০হাজার টাকা করে নিয়েছেনও।
অবশিষ্ট টাকা মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর দেওয়ার কথা ছিল। আয়ুব আলী দালাল সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে টেকনাফের কচুবনিয়া ঘাট থেকে আমাদের নৌকায় তুলে দেয়।

গত রোববার রাতে সাগরে অবস্থানরত জাহাজে তুলে দেওয়া কথা ছিল। কিন্তু দুই দিন সাগরে ঘুরানোর পর মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলা পাড়া উপকূলে নামিয়ে দেয়। পরে বিজিবি’র একটি দল আমাদের উদ্ধার করেন।

বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমদ্দার বলেন, দালালের খপ্পরে পরে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল এমন ১৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। ফলে তাদের ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে দালালদের নাম পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, কোনোভাবেই সাগর পথে মানব পাচার হতে দেওয়া হবে না। দালালদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে