পাঁচ বছরের নিচে ইয়েমেনের ৮৫ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগে মৃত্যুবরণ করেছে। শীর্ষ দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এই তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, ইয়েমেনে শিশু মৃত্যুর এই সংখ্যাটি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে বার্মিংহামের পাঁচ বছরের কম বয়সী মোট শিশুর সমান।
ইয়েমেনের পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়। গত তিনবছরে ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। দেশটির ৭৫ শতাংশ মানুষের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অন্তত সোয়া কোটি মানুষের বেচে থাকার জন্য জরুরী খাদ্য সহায়তা দরকার। প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের জানা নেই, তাদের পরবর্তী বেলার খাবার জুটবে কিনা। দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে, কলেরা আর ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
গত মাসে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গত তিন বছর ধরে দেশটিতে চলা যুদ্ধে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে। সংস্থাটি এই যুদ্ধ বন্ধ করতে চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।
২০১৪ সালে শিয়া মতাবলম্বী হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের সেসময়কার নতুন প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে উত্তরাঞ্চলের প্রদেশ সাদা এবং আশেপাশের কয়েকটি এলাকার দখল নেয়। পরবর্তীকালে বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা’র নিয়ন্ত্রন নেয় এবং প্রেসিডেন্ট হাদিকে দেশান্তরী হতে বাধ্য করে।
২০১৫ সালের মার্চ মাসে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবসহ আটটি আরব দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সেনাবাহিনী জোট গঠন করে আক্রমণ শুরু করলে যুদ্ধের তীব্রতা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়।