নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
জানা যায়, দেশের ৩শটি সংসদীয় আসনের জন্য মোট ১২২টি নির্বাচনি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সহকারী জজের সমন্বয়ে এ তদন্ত কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে এই কমিটি গঠন করা হলো।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান মত ও পথকে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ফল প্রকাশ পর্যন্ত কোনও প্রার্থী, তার সমর্থক বা অন্য কেউ আইন ও বিধি লংঘন করলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান আরও বলেন, আচরণ বিধিমালা দেখভালে ইতোমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ শুরু করেছেন। তাদরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় বলা হয়েছে, কারও প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ নয়, সব দলের সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখতে হবে।
জানা গেছে, নির্বাচনে অপরাধের বিচার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোটের মাঠ থাকছেন প্রায় দেড় হাজার জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইতোমধ্যে ছয় শতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া ভোটের আগের দিন থেকে পরের দুই দিন মোতায়েন থাকবেন ৬৪০ জন জুডিশিয়াল (বিচারিক) ম্যাজিস্ট্রেট।
জানা যায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ- ১৯৭২ (আরপিও) এর অধীনে নির্বাচনি অপরাধ আমলে নেওয়া ও সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য মাঠে থাকবেন ৬৪০জন জুডিশিয়াল (বিচারিক) ম্যাজিস্ট্রেট। ৩শটি নির্বাচনি এলাকার প্রতিটিতে দুই জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামবেন। তারা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চার দিন বিচারকার্য চালাবেন। একাধিক উপজেলা বা উপজলার অংশ নিয়ে গঠিত নির্বাচনি এলাকার ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজলা বা উপজেলার অংশ বিশেষের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াগ দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪০জন।