ফেসবুকে নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালালে ব্যবস্থা

ডেস্ক রিপোর্ট

নির্বাচন কমিশন (ইসি)সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার, ভুয়া নিউজ ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের বিদ্যমান আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও তাদের বিচার হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, এসব রোধে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ-সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের ইসি ভবনে ডেকে সোমবার বৈঠকের মাধ্যমে এ নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মোবাইল নেটওয়ার্কিং নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।

বৈঠকের শুরুতে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাগত বক্তব্যে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কল ড্রপ ও নেটওয়ার্ক না থাকার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রথম যখন আমরা এ ভবনে আসি তখন তিন-চার মাস কোনো অপারেটরের নেটওয়ার্ক ভালো মতো পাইনি। এখন কিছুটা উন্নতি হলেও অনেক জায়গায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। ইন্টারনেটের গতি খুবই ধীর। এজন্য নির্বাচনী কাজে এখনও ই-মেইল পাঠাতে পারছেন না তারা। মাঠ পর্যায়ে চিঠি দেয়া হচ্ছে।

উপস্থিত সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য বলেন তিনি। এছাড়া নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে যাতে মোবাইলের নেটওয়ার্ক নিরবচ্ছিন থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন ইসি সচিব।

বৈঠক শেষে হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো প্রকার গুজব বা প্রোপাগান্ডা বা এমন কিছু যা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, যে জিনিসগুলো প্রতিরোধ করতে আমরা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করব। সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করার জন্য সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের আমরা অনুরোধ করছি। তারা আমাদের বলেছেন, ফেসবুক ব্যবহার করে এসব যারা করে, তাদের ফেসবুক নজরদারিতে থাকবে। যারা এসব করবে, তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিদ্যমান আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কমিশনকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না-জানতে চাইলে সচিব বলেন, অবশ্যই। যেহেতু নির্বাচনের তফসিল হওয়ার পরপরই সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে, তাই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

তফসিল ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব প্রচার শুরু হয়, সেগুলোকে কীভাবে দেখছেন? এর উত্তরে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা চাই যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার অপপ্রচার যাতে না হয়।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে